বিষাক্ত মদের জেরে প্রাণ হারালেন একাধিক! কোন কারণ নেপথ্যে?

বিহারে (bihar) নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, বিষাক্ত মদ পান করার কারণে প্রতি বছর কয়েক ডজন লোক মারা যায়। রাজ্যে(state)নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মদের ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। নিষেধাজ্ঞায় ব্যবসায়ীরা শর্টকাট পদ্ধতিতে বেশি অর্থ উপার্জন করতে চায়। নিয়ম-কানুন ও সততার কথা মাথায় রেখে গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে মদ(alcohol) তৈরি ও বিক্রি করা হচ্ছে।

বিষাক্ত মদের জেরে প্রাণ হারালেন একাধিক! কোন কারণ নেপথ্যে?

খবর সাতদিন ডেস্ক, 17 অক্টোবর: বিষাক্ত মদের কারণে সিওয়ান ও ছাপড়ায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান 24। একই সঙ্গে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সিওয়ানের সদর হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ। এই ঘটনার শিকার এখানে সর্বত্র দৃশ্যমান। 

নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের পরিবারের সদস্যদেরও কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। সিওয়ান এসপি অমিতেশ কুমার এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মারা যাওয়া 20 জনের লাশ পোস্ট মর্টেম করা হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা প্রশাসনের পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।

বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

সিওয়ানের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত 20 জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। বুধবার ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। যেখানে বৃহস্পতিবার সকালে মৃতের সংখ্যা ২০ ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা 26 ছুঁয়েছে।

শোকে নিমজ্জিত ভগবানপুরের কৌদিয়া গ্রাম

সিওয়ান-পাটনা হাইওয়েতে মালামালিয়া থেকে এগিয়ে কৌদিয়ান গ্রাম। এখানকার বৈশ্য টলি এবং আশেপাশের খৈরওয়া, মাঘর, বিলাসপুর এবং সরসাইয়া গ্রামে বিষাক্ত মদ (alcohol) পানে প্রায় 26 জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর কাউদিয়ান গ্রামেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেই সাথে মৃতদের ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। ইব্রাহিমপুর ও পার্শ্ববর্তী সারান জেলার মাশরাকের গ্রামেরও চারজন মারা গেছেন।