রোজ গরম ভাতে ঘি খেলেই বিপদ! বাড়তে পারে হৃদরোগ সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা

ঘিয়ের উপকারী দিক থাকলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে অতিরিক্ত খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব

রোজ গরম ভাতে ঘি খেলেই বিপদ! বাড়তে পারে হৃদরোগ সহ বিভিন্ন শারীরিক  সমস্যা

খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 17 অক্টোবর: ভারতীয় রান্নাঘরের এক অবিচ্ছেদ্য সামগ্রী হল ঘি। বহু প্রজন্ম ধরে এটি আমাদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। শুক্তো, মুগের ডাল বা গরম ভাতে সামান্য খাঁটি ঘি যোগ করলে খাবারের স্বাদ একেবারে বদলে যায়। লুচি, পরোটা কিংবা হালুয়ার মতো পদগুলোর সঙ্গেও ঘিয়ের ব্যবহার অনেক পুরনো। এর সুগন্ধ ও স্বাদের পাশাপাশি ঘি শরীরের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান, যা শরীরের পক্ষে বেশ উপযোগী।

তবে ঘিয়ের উপকারী দিক থাকলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে অতিরিক্ত খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব:

১. হার্টের সমস্যা

যদিও ঘি পরিমিত পরিমাণে খেলে হার্টের জন্য ভালো হতে পারে, কিন্তু অতিরিক্ত ঘি খেলে কার্ডিওভ্যাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘিতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে খেলে হৃদ্‌রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই, প্রতিদিন ২ চামচের বেশি ঘি না খাওয়াই ভালো।

২. কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি

অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর পরিমাণ বাড়তে পারে, যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। ঘি দিয়ে ভাজাভুজি বা ঘি চপচপে লুচি-পরোটা খাওয়া শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৩. ওজন বৃদ্ধি

ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। দিনের পর দিন অতিরিক্ত ঘি খেলে ওজন বাড়তে পারে, যা শরীরের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ঘি খাওয়ার পরিমাণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৪. হজমের সমস্যা

যাদের হজমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ঘি ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে ঘিয়ে ভাজা খাবার খেলে পেটফাঁপা, অম্বল-গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হজমের সমস্যা থাকলে ঘি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

৫. যকৃতের সমস্যা

যাদের লিভার বা যকৃতের সমস্যা আছে, তাদের জন্য ঘি খাওয়া উচিত নয়। ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে, যা যকৃতের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে এসময় দূরে থাকা শ্রেয়।

অতএব, ঘি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও, তা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই, প্রতিদিনের খাবারে ঘি যোগ করার আগে এর পরিমাণ ও প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।