অক্টোবরেই মহানগরে অমিত শাহ, তৈরি হবে BJP-র বিধানসভা নির্বাচনের 'ব্লু-প্রিন্ট'!

বিজেপির সাংগঠনিক সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ছ’বছর অন্তর সদস্য সংগ্রহ অভিযানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাধ্যমে জাতীয়ভাবে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তবে বাংলায় সাম্প্রতিক আরজি কর-কাণ্ড এবং পুজোর মরসুমের জন্য এই কর্মসূচি এখনও পুরোপুরি শুরু করা সম্ভব হয়নি। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং কালীপুজোর পরেই জেলায় জেলায় কর্মসূচি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।

অক্টোবরেই মহানগরে অমিত শাহ, তৈরি হবে BJP-র বিধানসভা নির্বাচনের 'ব্লু-প্রিন্ট'!

খবর সাতদিন ডেস্ক, 18 অক্টোবর: আগামী ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতা সফর বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের নতুন দিক নির্দেশনা প্রদান এবং ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সূচনা হিসেবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারবার রাজ্যে এলেও, পরবর্তীকালে বিজেপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না হওয়ায় বাংলার মাটিতে দীর্ঘদিন পা রাখেননি শাহ। তবে এবারের সফরে তিনি দলের সাংগঠনিক কর্মসূচি জোরদার করার বার্তা দিতে আসছেন। এই সফরের মাধ্যমে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির সক্রিয়তা পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন।

বিজেপির সাংগঠনিক সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ছ’বছর অন্তর সদস্য সংগ্রহ অভিযানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাধ্যমে জাতীয়ভাবে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তবে বাংলায় সাম্প্রতিক আরজি কর-কাণ্ড এবং পুজোর মরসুমের জন্য এই কর্মসূচি এখনও পুরোপুরি শুরু করা সম্ভব হয়নি। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং কালীপুজোর পরেই জেলায় জেলায় কর্মসূচি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।

অমিত শাহের এই সফর শুধুমাত্র সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে গতি দেবে না, বরং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। শাহের পূর্বের সফরগুলিতে যেমন দলীয় কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ছড়িয়েছিল, এবারও তার সফর থেকে বিজেপি একই ধরনের প্রভাব আশা করছে। ২০১৯ সালে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সফলতার ফলেই তারা বাংলায় উল্লেখযোগ্য আসন বৃদ্ধি করতে পেরেছিল। এবারও সেই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে বিজেপি, এবং এক কোটি সদস্যপদ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

তবে, বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির জন্য পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেকটাই প্রতিকূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২ হওয়া এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের দাপট বিজেপিকে চাপে রেখেছে। ফলে, এবার দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ফলাফল শুধুমাত্র সংখ্যাত্মক সাফল্যের জন্য নয়, বরং সাংগঠনিকভাবে দলকে মজবুত করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অমিত শাহের আসন্ন সফরের মাধ্যমে যে বার্তাটি দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হবে, তা হলো— বাংলায় বিজেপির ভবিষ্যৎ এখনও উজ্জ্বল, এবং সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকরী কর্মসূচির মাধ্যমে তারা রাজ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সক্ষম হবে।