আবারও কর্মবিরতির 'হুমকি'! জুনিয়ার ডাক্তারদের নতুন সিদ্ধান্ত
সোমবার আরজিকর মামলার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ঠিকঠাক না হলে তারা ফের কাজ বন্ধ করে দেবেন। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারটার অসুবিধায় পড়ছেন তেমনি তিলোত্তমার জন্য তারা লড়ছেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষ এই কর্ম বিরতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
খবর সাতদিন, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২৯ শে সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন যে,সোমবার আরজিকর মামলার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ঠিকঠাক না হলে তারা ফের কাজ বন্ধ করে দেবেন। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারটার অসুবিধায় পড়ছেন তেমনি তিলোত্তমার জন্য তারা লড়ছেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষ এই কর্ম বিরতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, সামনেই পুজো আর ‘তদন্তে সিবিআই, মামলা সুপ্রিম কোর্টও হয়েছে। তার উপর আবার কর্মবিরতির 'হুমকি’। এইসব ঘটনার পেছনে তাদের মদত রয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন তিনি।
আমরা সবাই জানি আরজিকরে এই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের কথা। এই ঘটনার সুবিচারে এর দাবিতে করে প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মবিরত রয়েছে জুনিয়ার ডাক্তাররা। এর ফলে দফায় দফায় রাজ্য সরকার বৈঠকও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছে। এবং জুনিয়র ডাক্তাররা কয়েকদিন আগে তাদের কাজেও ফিরেছেন। তবে ফের হঠাৎ করে এই কর্মবিরতি হুমকি কেন? শনিবার রাতের জিবি বৈঠক শেষে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাদের মনঃপুত হয়নি বলে সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সরকারি সমস্ত মেডিকেল কলেজে তাঁরা পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করবেন।
আর জি করের ভয়ংকর ঘটনায় মৃতার ময়নাতদন্তে নানা তথাকথিত অসঙ্গতির তত্ত্ব মেলে ধরে নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের ন্যারেটিভ পোক্ত করতে জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা এখনও আন্দোলনে অনড়। অথচ কী আশ্চর্য, ঘটনার দিন মৃতার ময়নাতদন্ত অন্য হাসপাতালে করার দাবি কিন্তু সেই জুনিয়র ডাক্তাররা একবারও তোলেননি! বরং তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রীতিমতো চিঠি দিয়ে যে চার দফা শর্ত তারা দিয়েছিলেন, হুবহু সেই শর্তাবলী মেনেই হয়েছিল ময়নাতদন্ত। এবং ময়নাতদন্ত চলাকালীন দুজন জুনিয়র ডাক্তার সেখানে হাজিরও ছিলেন। এমনকী, ৯ আগস্টই আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদেরবিশ্রামকক্ষ, শৌচাগার তৈরির দাবি তুলে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই কাজ করতেই গত ১০ ও ১২ আগস্ট দু’দফায় সরেজমিনে পরিদর্শনের পর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘর ভাঙা বা ভোলবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই পরিদর্শন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণপর্বেও শামিল হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুধু তাই নয়, যে বৈঠকে সর্বসন্মত ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার কার্যবিবরণীতে বাস্তুকার, কর্তব্যরত নার্সরা ছাড়াও জ্বলজ্বল করছে তিন জুনিয়র ডাক্তারের স্বাক্ষর। এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। লিখেছেন, ‘আবার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি। অথচ বহুল প্রচারি এই নথিগুলি সম্পর্কে নীরবতা। যাঁদের সই, সম্মতি বলে দৃশ্যমান, সত্যতা নিয়ে তাঁদের মুখেও কুলুপ।’