কত দূরে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'? কবে, কোথায় ল্যান্ডফল? জেনে নিন লেটেস্ট আপডেট
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার পুরী এবং বাংলার সাগরদ্বীপের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। এ কারণে বঙ্গোপসাগরের একাংশ ইতিমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং বৃহস্পতিবার সমুদ্র আরও উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 22 অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে এবং তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার পারাদ্বীপের ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি। এটি বর্তমানে বাংলার সাগরদ্বীপের ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে। নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং বুধবার সকালেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বুধবার দুপুরের মধ্যে এটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে এবং সমুদ্র উত্তাল হতে থাকবে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার পুরী এবং বাংলার সাগরদ্বীপের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। এ কারণে বঙ্গোপসাগরের একাংশ ইতিমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং বৃহস্পতিবার সমুদ্র আরও উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়কালে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। দুর্যোগের সম্ভাব্য প্রভাব পড়বে বাংলার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়া—এই আটটি জেলায়।
আবহাওয়া দপ্তর বুধবার দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ওই দিন এবং শুক্রবার হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির কারণে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই দুর্যোগের কারণে কৃষি ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তর ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে, যাতে ধান কেটে দ্রুত সংগ্রহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পেঁপে, কলা, সব্জি ও ডাল শস্যের জমিতে নিকাশি ব্যবস্থা বজায় রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা রাজ্যেও ১৪টি জেলায় দুর্যোগের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরীতে অবস্থানরত পর্যটকদের দ্রুত শহর ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর ১৪টি দল পশ্চিমবঙ্গ এবং ১১টি দল ওড়িশায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।