ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, ১৩৫ কিলোমিটার বেগে হবে ল্যান্ডফল, কোন জেলায় কবে সতর্কতা?
ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি দ্রুত পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে এবং ২২ অক্টোবরের মধ্যে নিম্নচাপ আরো শক্তি অর্জন করবে। এরপর, ২৩ অক্টোবরের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 21 অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে আসন্ন তিন দিনের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং এটি ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়, তবে কাতার কর্তৃক দেওয়া নাম অনুসারে এর নাম হবে ‘দানা’।
আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কতা
ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি দ্রুত পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে এবং ২২ অক্টোবরের মধ্যে নিম্নচাপ আরো শক্তি অর্জন করবে। এরপর, ২৩ অক্টোবরের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, যা সমুদ্র পরিস্থিতিকে উত্তাল করে তুলবে। বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ও এলাকা ভিত্তিক সতর্কতা
এদিকে, উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং মালদহ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বড় ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই, তবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে বিশেষভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি
আবহাওয়া দফতরের সতর্কতার ভিত্তিতে প্রশাসনকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।