ইরানের সেনাঘাঁটিতে বারুদের বৃষ্টি! ইজরায়েলকে পাল্টা জবাব দেওয়ার তোড়জোড় শুরু
এই সংঘাতের পটভূমি হিসেবে উল্লেখযোগ্য হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা এবং হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহের মৃত্যু, যা ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। তাদের মৃত্যু ঘিরে ইরান যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং ১ অক্টোবর ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় তেহরান।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 28 অক্টোবর: তেহরানের সামরিক স্থাপনায় ইজরায়েলি আক্রমণের ফলে উত্তেজনায় ফুঁসছে মধ্যপ্রাচ্য। শনিবার ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) তাদের এফ-৩৫আই জেটের সাহায্যে ইরানের বেশ কিছু সেনাঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে, যার ফলে কেঁপে ওঠে তেহরানসহ ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ইরাকে ও সিরিয়াতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই আক্রমণের জন্য তেল আভিভের যুক্তি, ইরান-সমর্থিত লেবাননের হেজবোল্লা গোষ্ঠী ইজরায়েলে হামলা চালাচ্ছিল, যার ফলে পালটা দিতে বাধ্য হয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী।
এই সংঘাতের পটভূমি হিসেবে উল্লেখযোগ্য হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা এবং হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহের মৃত্যু, যা ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। তাদের মৃত্যু ঘিরে ইরান যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং ১ অক্টোবর ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় তেহরান।
এর উত্তরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দেন, এটি কোনও মার্কিন নির্দেশে করা হয়নি; বরং ইজরায়েলের জাতীয় স্বার্থে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে গুঞ্জন রয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের পরোক্ষ সমর্থন পেতেই ইজরায়েল এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই এই আক্রমণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "ইজরায়েলের এই পদক্ষেপকে গুরুত্ব না দিলেও চলবে না, আবার খুব বেশি বাড়াবাড়ি করারও প্রয়োজন নেই। তবে ইজরায়েলকে আমাদের শক্তি কতটা, তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। কীভাবে এই বার্তা দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত ইরানি প্রশাসনই নেবে।" খামেনেই সরাসরি ইজরায়েলের উপর পালটা হামলার বিষয়ে কিছু না বললেও তার বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইরান বিষয়টি সহজে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনেইয়ের এই বক্তব্য ইরানিদের মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি ইজরায়েলের প্রতি কঠোর বার্তা। উভয় পক্ষের এই সামরিক শক্তিপ্রদর্শন মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তেহরানের পালটা পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।