কলকাতার দোকানে হিন্দি বা ইংরেজি সাইনবোর্ড লাগানো চলবে না, কড়া নির্দেশিকা জারি করল পুরসভা

শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। কলকাতা দীর্ঘদিন ইংরেজদের শাসনে ছিল, সেজন্য এখানকার বহু সাইনবোর্ডে এখনও ইংরেজি ভাষার প্রাধান্য দেখা যায়। তবে এবার বাংলার গুরুত্ব আরও বাড়াতে সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।” মেয়র জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হবে, যাতে শহরের সব প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলায় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে।

কলকাতার দোকানে হিন্দি বা ইংরেজি সাইনবোর্ড লাগানো চলবে না, কড়া নির্দেশিকা জারি করল পুরসভা

খবর সাতদিন ডেস্ক, 27 অক্টোবর: বাংলা ভাষা সম্প্রতি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ায় আনন্দে ভাসছে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা বাংলা ভাষাভাষী সমাজ। এই মর্যাদা ভাষার প্রাচীনতা ও সমৃদ্ধি সবার সামনে আবারও উন্মোচিত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাভাষীদের কাছে সম্মানের এবং এই সুযোগেই কলকাতা পুরসভা একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এবার কলকাতা শহরের সব সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে পুরসভা।

শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। কলকাতা দীর্ঘদিন ইংরেজদের শাসনে ছিল, সেজন্য এখানকার বহু সাইনবোর্ডে এখনও ইংরেজি ভাষার প্রাধান্য দেখা যায়। তবে এবার বাংলার গুরুত্ব আরও বাড়াতে সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।” মেয়র জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হবে, যাতে শহরের সব প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলায় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে।

অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় বাংলা ভাষার উপস্থিতি কমে গিয়েছে, যা শহরের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ক্ষুণ্ণ করছে। অনেক বাণিজ্যিক এলাকায় বাংলার বদলে হিন্দি ভাষার প্রভাব বেশি লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সেসব জায়গায় এবার বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড দেখা যাবে।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে কতটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে পুরসভা? কলকাতার বহু এলাকায় এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বাংলা বোঝেন না বা ব্যবহার করেন না। তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম পালনে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশাবাদী, ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার প্রেক্ষিতে সবাই এই উদ্যোগকে সম্মানের সাথে মেনে চলবে।

বাংলা ভাষার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি পেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টাও প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে তিনি এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বাংলা ভাষা প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন এবং গবেষণায় তার প্রাচীনত্ব ও শৈলী প্রমাণিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম ও ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল বাংলা।