আতঙ্কের নতুন নাম 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট'! কিভাবে বাঁচবেন? উপায় বলে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী
এই ধরনের প্রতারণা মূলত ভয় প্রদর্শন ও মানসিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতারকরা প্রথমে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে, যাতে ফোন নম্বর, আধার নম্বর এমনকি পরিবারের সদস্যদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এরপর প্রতারক পুলিশের নাম বা সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে ফোন করে। এই সময় তারা ফোনে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করে যেন মনে হয়, ভুক্তভোগীর কোনো গোপন তথ্য নিয়ে সরকারি তদন্ত চলছে, এবং তাকে এখনই সহযোগিতা করতে হবে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 28 অক্টোবর: বর্তমান ডিজিটাল যুগে দেশে দ্রুত ডিজিটালাইজেশন বা প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা যেমন বাড়ছে, তেমনি সাথে বেড়েই চলেছে অনলাইন প্রতারণার ঘটনা। রবিবার, ২৭ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর "মন কি বাত"-এর ১১৫তম পর্বে এই ইস্যুতে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষভাবে, ডিজিটাল অ্যারেস্ট ফ্রড বা ডিজিটাল গ্রেফতার প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করেন তিনি।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট ফ্রড: কীভাবে চলে এই প্রতারণা
এই ধরনের প্রতারণা মূলত ভয় প্রদর্শন ও মানসিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতারকরা প্রথমে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে, যাতে ফোন নম্বর, আধার নম্বর এমনকি পরিবারের সদস্যদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এরপর প্রতারক পুলিশের নাম বা সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে ফোন করে। এই সময় তারা ফোনে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করে যেন মনে হয়, ভুক্তভোগীর কোনো গোপন তথ্য নিয়ে সরকারি তদন্ত চলছে, এবং তাকে এখনই সহযোগিতা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর তিন ধাপের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধি
প্রধানমন্ত্রী মোদি ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পেতে তিনটি ধাপের কথা বলেছেন: 'থামুন - ভাবুন - পদক্ষেপ নিন'। এই ধাপগুলির উদ্দেশ্য হলো জনগণকে সচেতন করা এবং প্রতারণা থেকে রক্ষা করা।
১. থামুন
কোনো সন্দেহজনক কল বা মেসেজ পেলে প্রথমে থামুন এবং আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন। দ্রুত কোনও তথ্য শেয়ার করবেন না এবং সম্ভব হলে কল বা মেসেজের স্ক্রিনশট নিন বা রেকর্ড করুন।
২. ভাবুন
প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোনো সরকারি সংস্থা বা পুলিশ কখনও ভিডিও কল বা ফোনের মাধ্যমে ভীতিপ্রদর্শন করে টাকা দাবি করে না। এই ধরনের ফোন বা মেসেজ থেকে সাবধান থাকা উচিত।
৩. পদক্ষেপ নিন
যদি সন্দেহজনক কিছু ঘটে, তবে ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইন ১৯৩০ এ ফোন করুন অথবা cybercrime.gov.in ওয়েবসাইটে রিপোর্ট করুন। প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যদের এবং পুলিশকে জানান।
সরকারের উদ্যোগ ও জনগণের ভূমিকা
প্রধানমন্ত্রী মোদি জনগণকে ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এই সতর্কবার্তা ডিজিটাল যুগে প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে সহায়তা করবে।