২০৩০ সালেই নাকি শেষ কলকাতার পথচলা? কি হবে সতেরো কোটি মানুষের?
ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে মহানগরী কলকাতা।সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে হু হু করে। আর তাতেই আগামী ৬ বছরের মধ্যেই কলকাতাকে স্পর্শ করে ফেলবে সমুদ্র। সাম্প্রতিক গবেষণা অন্তত তেমন কথাই বলছে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরে ২০৩০ সালের মধ্যেই কলকাতা সহ বাংলার বেশ কিছু অংশ তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 26 সেপ্টেম্বর: ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে মহানগরী কলকাতা।সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে হু হু করে। আর তাতেই আগামী ৬ বছরের মধ্যেই কলকাতাকে স্পর্শ করে ফেলবে সমুদ্র। সাম্প্রতিক গবেষণা অন্তত তেমন কথাই বলছে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরে ২০৩০ সালের মধ্যেই কলকাতা সহ বাংলার বেশ কিছু অংশ তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে।
তবে শুধু কলকাতা নয়। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি মুম্বাই চেন্নাইয়ের মত মেট্রো শহরগুলিও রয়েছে তালিকায়। অর্থাৎ ভারতের অন্যতম শহরগুলির বুকেই নেমে আসছে বিপর্যয়। ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, কলকাতার মাটির তলা থেকে ধীরে ধীরে পলিরাশি সরে যাচ্ছে। তার ফলে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে কলকাতার মাটি। দিনের পর দিন যেভাবে জলস্তর বাড়তে থাকছে তাতে ভবিষ্যতে কলকাতার পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর। কলকাতা ছাড়াও ভারত বর্ষের উপকূলবর্তী আরো 12 টি শহর আগামী ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু কেন হচ্ছে এমন? এর পেছনে রয়েছে কোন কারণ?
বিজ্ঞানীদের মতে, দিনে দিনে হু হু করে বেড়েই চলেছে সারা বিশ্বের তাপমাত্রা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহ গলে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেলেই নদীতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করবে। তাতেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে উপকূলীয় শহরগুলি। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্র বাড়ছে, কমছে অক্সিজেন। দ্রুত গলে যাচ্ছে হিমবাহ গুলি। তাতেই ঘনিয়ে আসছে সমূহ বিপদ। ২০৩০ এর মধ্যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে উপকূলীয় শহর গুলির অস্তিত্ব একেবারে মুছে যাবে ভারতের বুক থেকে। টিকে থাকবে শুধু ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছুটা অংশ। এমনটাই জানিয়েছেন ভূ বিজ্ঞানীরা। প্রকৃতির রোষানলে পরে এনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি হয়ে পড়বেন সারা ভারতবর্ষের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ। এই পরিসংখ্যান যে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না
কিভাবে মোকাবিলা করা যাবে এমন পরিস্থিতি? সমুদ্রের জল যাতে মাটি ক্ষয় না করতে পারে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কমিয়ে আনতে হবে দূষণের পরিমাণ। দূষণের পরিমাণ কমে গেলে রুখে দেওয়া যাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন। ধীরে ধীরে প্রকৃতি ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দে।