ফের গড়ালো ট্রামের চাকা, কলকাতার বুকে কোন রুটে চালু হল ট্রাম চলাচল
স্বাধীনতার পর এত দীর্ঘ সময় ধরে কখনও ট্রাম চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছিল, ১৬ অক্টোবর থেকে ট্রাম ফের রাস্তায় নামবে, কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর পরও ট্রামের চাকা গড়ায়নি। অনেক যাত্রী রাস্তায় এসে ট্রাম না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন, আর সেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। বহু ট্রামপ্রেমীর আশঙ্কা ছিল যে, ট্রাম হয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, কারণ মঙ্গলবার থেকে পুনরায় শহরের রাস্তায় দেখা মিলেছে ট্রামের।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 23 অক্টোবর: দীর্ঘ ১৩ দিনের বিরতির পর অবশেষে কলকাতার রাস্তায় ফিরে এল ঐতিহ্যবাহী ট্রাম। মঙ্গলবার শ্যামবাজার-ধর্মতলা এবং গড়িয়াহাট-ধর্মতলা রুটে যাত্রী নিয়ে ট্রাম চলাচল শুরু হয়, ঘণ্টা বাজিয়ে ছুটতে দেখা যায় শহরের রাস্তায়। পুজোর সময় যানজট এড়ানোর জন্য ৯ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাম চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু উৎসব শেষ হওয়ার পরও ট্রাম চলাচল শুরু না হওয়ায় ট্রামপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মঙ্গলবার থেকে ফের দুই রুটে ট্রাম চালু হলো, যা দেখে স্বস্তি পেলেন ট্রামপ্রেমীসহ সাধারণ মানুষও।
স্বাধীনতার পর এত দীর্ঘ সময় ধরে কখনও ট্রাম চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছিল, ১৬ অক্টোবর থেকে ট্রাম ফের রাস্তায় নামবে, কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর পরও ট্রামের চাকা গড়ায়নি। অনেক যাত্রী রাস্তায় এসে ট্রাম না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন, আর সেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। বহু ট্রামপ্রেমীর আশঙ্কা ছিল যে, ট্রাম হয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, কারণ মঙ্গলবার থেকে পুনরায় শহরের রাস্তায় দেখা মিলেছে ট্রামের।
পরিবহণ দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশের ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে ট্রাম চলাচল বিলম্বিত হয়। পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের মধ্যে আলোচনার পর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে এবং মঙ্গলবার থেকে ফের ট্রাম চালু হয়। পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটেও ট্রাম চলাচল শুরু হবে।
এই দীর্ঘ বিরতি নিয়ে শহরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। এমনকি কলকাতায় ট্রাম বন্ধের প্রতিবাদে মিছিলও বের হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে আদালতের রায় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশেষে শহরের ঐতিহ্যবাহী ট্রাম আবার চলাচল শুরু করায় ট্রামপ্রেমী এবং সাধারণ যাত্রীরা খুশি হয়েছেন।