থরথর করে কাঁপবে চীন, সমূদ্রের নীচে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠালো ভারত

'এস ৪' কোড নামের এই সাবমেরিনটি পরমাণু শক্তিসম্পন্ন 'কে ৪' মিসাইল বহনে সক্ষম, যার আক্রমণের ক্ষমতা প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার। ভারতীয় নৌবাহিনীতে এর যুক্ত হওয়া দেশটির সমুদ্রসীমায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। উল্লেখ্য, এর আগেও ভারত পারমাণবিক সাবমেরিন ‘আইএনএস অরিহন্ত’ ও ‘আইএনএস আরিঘাট’-কে নৌবাহিনীতে যুক্ত করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আরও একটি সাবমেরিন যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

থরথর করে কাঁপবে চীন, সমূদ্রের নীচে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠালো ভারত

খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 23 অক্টোবর: দক্ষিণ চীন সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারত নিজের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে তৎপর হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের চতুর্থ পারমাণবিক সাবমেরিন 'এস ৪' নীরবে নামানো হয়েছে সমুদ্রে। ১৬ আগস্ট বিশাখাপত্তনম শিপ বিল্ডিং সেন্টার থেকে এই অত্যাধুনিক সাবমেরিনটি সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। সাবমেরিনটির নির্মাণে ৭৫ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

'এস ৪' কোড নামের এই সাবমেরিনটি পরমাণু শক্তিসম্পন্ন 'কে ৪' মিসাইল বহনে সক্ষম, যার আক্রমণের ক্ষমতা প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার। ভারতীয় নৌবাহিনীতে এর যুক্ত হওয়া দেশটির সমুদ্রসীমায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। উল্লেখ্য, এর আগেও ভারত পারমাণবিক সাবমেরিন ‘আইএনএস অরিহন্ত’ ও ‘আইএনএস আরিঘাট’-কে নৌবাহিনীতে যুক্ত করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আরও একটি সাবমেরিন যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী চীনের সামুদ্রিক আগ্রাসনের প্রতিরোধে কৌশলগতভাবে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে। দক্ষিণ চীন সাগর এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় নৌবাহিনী নিজেদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিকীকরণের দিকে আরও মনোযোগ দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণ প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।