আজ থেকেই শুরু দুর্যোগ, কোন জেলায় ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাব মারাত্মক? জেনে নিন
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে আরও শক্তিশালী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তার পর এটি অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার হতে পারে এবং দমকা হাওয়ার সর্বাধিক গতিবেগ ১২০ কিমি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 23 অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চার করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। আবহবিদরা উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে তার গতিপ্রকৃতি নিরীক্ষণ করছেন এবং নিয়মিত সতর্কতা জারি করছেন। মঙ্গলবার রাতে, নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে এবং বুধবার সকালে তা ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দূরত্ব প্রায় ৬৩০ কিলোমিটার।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে আরও শক্তিশালী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তার পর এটি অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার হতে পারে এবং দমকা হাওয়ার সর্বাধিক গতিবেগ ১২০ কিমি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার ভদ্রক, বালেশ্বর, পুরী, জগৎসিংহপুর এবং বাংলার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রও ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে, বিশেষ করে পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে এবং নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হোটেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।