ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই চারটি ঘর, অসহায় পরিবার

ভূজারিপাড়া পূর্বদেহ এলাকায় ধনেশ্বর রায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। প্রথমে প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ম মাসের জন্য ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে নাম সংকীর্তন যান ধনেশ্বর রায় এবং তার স্ত্রী। এদিকে তার ছেলে অনিমেষ রায়ও কোম্পানির কাজ করেন তাই তিনি বাইরে ছিলেন। সেই সময় ঘরে ছিলেন অনিমেষ রায়ের স্ত্রী কণিকা রায় এবং তার তিন সন্তান। এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের আগুন আগুন চিৎকার শুনে কণিকা রায় তার সন্তানদের নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন।

ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই চারটি ঘর, অসহায় পরিবার

খবর সাতদিন ডেস্ক, 21 অক্টোবর: ভোর রাতে ভয়ংকর অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই একই বাড়ির চারটি ঘর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্বদেহ এলাকায়। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরে থাকা সমস্ত কিছুই পুড়ে যায়। যদিও এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের কারো কোনো শারীরিক ক্ষতি হয়নি। তবে বাড়িতে থাকা গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে।

জানা যায়, ভূজারিপাড়া পূর্বদেহ এলাকায় ধনেশ্বর রায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। প্রথমে প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ম মাসের জন্য ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে নাম সংকীর্তন যান ধনেশ্বর রায় এবং তার স্ত্রী। এদিকে তার ছেলে অনিমেষ রায়ও কোম্পানির কাজ করেন তাই তিনি বাইরে ছিলেন। সেই সময় ঘরে ছিলেন অনিমেষ রায়ের স্ত্রী কণিকা রায় এবং তার তিন সন্তান। এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের আগুন আগুন চিৎকার শুনে কণিকা রায় তার সন্তানদের নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি দমকল কেন্দ্রে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই প্রায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।

বাড়ির মালিক  ধনেশ্বর রায় বলেন, "চারটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরে থাকা আসবাবপত্র, সোনার অলঙ্কার, নগদ পঁচিশ হাজার টাকা পুড়ে যায়। এমনকি ঘরে মজুত করে রাখা প্রায় দশ কুইন্টাল ধান, তিন কুইন্টাল শুকনো পাট, চার কুইন্টাল ভুট্টা পুড়ে যায়। গোয়াল ঘরে থাকা দুটি গরু আহত, দুটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে।"

এদিকে এই ঘটনায় সমস্ত কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাড়ির মালিক ধনেশ্বর রায়। যদিও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ভোর রাতে ঠাকুর ঘরে প্রদীপ দেওয়ার সময়ে এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে আগুন লাগার পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি দমকল এবং ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ময়নাগুড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। অন্যদিকে চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ চন্দ্র রায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়ি গিয়ে তিরপাল, চাল, ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।