৫০ পেরোলেও শরীরে থাকবে তরতাজা যৌবন, মেনে চলুন এই ৫ টিপস
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে বয়স ৫০ হলেও শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখা সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন ও অভ্যাস গড়ে তুললে সুস্থ থাকা তুলনামূলক সহজ হয়ে ওঠে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু অভ্যাস, যা ৫০ বছর বয়সের পরেও সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য অপরিহার্য।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 21 অক্টোবর: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা কমতে থাকে, যা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কম বয়সে শরীরের শক্তি ও সহনশীলতা যেমন থাকে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। এই পরিবর্তনের ফলে শরীর সহজেই ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে, এই শারীরিক পরিবর্তনগুলি তুলনামূলক দ্রুত ঘটে। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছনোর আগেই নারীদের নানা শারীরিক সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। তবে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ৫০ বছর বয়সের পর থেকে শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এসময় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় যে কোনও রোগের আক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে বয়স ৫০ হলেও শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখা সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন ও অভ্যাস গড়ে তুললে সুস্থ থাকা তুলনামূলক সহজ হয়ে ওঠে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু অভ্যাস, যা ৫০ বছর বয়সের পরেও সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য অপরিহার্য।
১. সময় নিয়ে খাওয়া
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঠিক সময় মেনে খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে সকালের খাবার সময় নিয়ে খাওয়ার সুযোগ থাকলেও, দুপুরের খাবার তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সকালে যেমন নিয়ম মেনে খাওয়া হয়, তেমনই দুপুরের খাবারও সময়মতো ধীরেসুস্থে খাওয়া উচিত।
২. নিয়মিত হাঁটাচলা
শুধু সকালবেলা হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করলেই চলবে না। বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পরে কিছুক্ষণের জন্য হাঁটাচলা করা অত্যন্ত উপকারী। দুপুরের ভারী খাবার হজম করতে সাহায্য করে এই অভ্যাস। মাত্র পাঁচ মিনিটের হালকা হাঁটাহাঁটি শরীরকে চাঙা রাখে এবং পেটের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।
৩. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম মূল চাবিকাঠি। অফিসের কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেওয়া, কিংবা মাথা নিচু করে একটু শিথিল হওয়া মন ও শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। যদিও পুরোপুরি ঘুমানো সম্ভব নয়, তবে কিছুক্ষণের এই বিশ্রাম শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং মন-মস্তিষ্ককে সতেজ করে।
৪. মানসিক শান্তি বজায় রাখা
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক শান্তি বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে চিন্তা ও মানসিক চাপ বেড়ে যায়, যা শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় নিজের জন্য রেখে মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত।
৫. পর্যাপ্ত জলপান
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরের জল ধারণক্ষমতা কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়স ৫০-এর পর প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করা জরুরি, যা শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।