ইজরায়েলের চোখ রাঙানির জবাব! ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো ইরান, বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত স্পষ্ট?
ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে গাজ়া থেকে শুরু হওয়া হামাসের আক্রমণ, লেবাননের হিজবুল্লা এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে ইরানের এই সরাসরি আক্রমণ পশ্চিম এশিয়ায় এক নতুন এবং দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ওই অঞ্চলের সামরিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, ২ অক্টোবর: মঙ্গলবার থেকে ইরান ইজরায়েলের ওপর সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে, যার ফলে পশ্চিম এশিয়ায় নতুন সংঘাতের আশঙ্কা বেড়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, তারা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানকে। তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন যে, এই আক্রমণের ফল ইরানকে ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি, আমেরিকাও ইরানকে সতর্ক করেছে এবং ইজরায়েলের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছে।
ইজরায়েলকে পাল্টা জবাব ইরানের
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করেছে, যার জবাবে ইরান ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভকে নিশানা করে হামলা চালায়। ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে গাজ়া থেকে শুরু হওয়া হামাসের আক্রমণ, লেবাননের হিজবুল্লা এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে ইরানের এই সরাসরি আক্রমণ পশ্চিম এশিয়ায় এক নতুন এবং দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ওই অঞ্চলের সামরিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
ইরানকে সতর্ক করলেন নেতানিয়াহু
মঙ্গলবার রাতেই নেতানিয়াহু তাঁর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন এবং সেখানে ইরানের হামলাকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘ইরান এই হামলা চালিয়ে ভুল করেছে, এর জন্য তাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে।’’ ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে পেরেছে এবং বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে, ইরানের পক্ষ থেকে পরবর্তী হামলার হুমকি এসেছে। তাঁরা জানিয়েছে যে, যদি ইজরায়েল এই আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তারা আরও বড় আক্রমণের মুখোমুখি হবে।
যুদ্ধের প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে
এই সংঘাতের ফলে পুরো পশ্চিম এশিয়া জুড়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে, এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। এখন নজর থাকবে ইজরায়েল ও ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর, যা এই সংঘাতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।