জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে কাছে পেয়ে কার্যত ক্ষোভ কাউন্সিলররা
বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আর সেই কারণেই বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছেন পৌরসভায়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পৌরসভার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে। সোমবার ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতি দেখে পৌরসভার কাউন্সিলররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 21 অক্টোবর: পানীয় জলের সমস্যার যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখলেন একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। তার উপস্থিতিতে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন ময়নাগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলররা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ময়নাগুড়ি পৌরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আর সেই কারণেই বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছেন পৌরসভায়।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পৌরসভার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে। সোমবার ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতি দেখে পৌরসভার কাউন্সিলররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে আলোচনায় বসে দ্রুত সমস্যা মেটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, যে সমস্ত জায়গায় পাইপ লাইনে লিকেজ রয়েছে সেগুলি সারাই করা হবে এবং পুরোনো রিজার্ভারে জলের সমস্যা থাকায় সেখানে নতুন রিজার্ভারের পাম্পকে ব্যবহার করা হবে। একমাসের মধ্যেই পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা।
উল্লেখ্য, পৌরসভা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে শুরু হয়েছে আম্রুত প্রকল্প। তিনটি জোনে ভাগ করে এই কাজ করা হবে। সেই আম্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনো সমাপ্ত হয়নি। কাজ শেষ হলেই পুরসভা এলাকার প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের কল বসানো সম্ভব হবে। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন,"পি এইচ ই এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এসেছেন। তিনি সমস্ত বিষয়ক খতিয়ে দেখে আলোচনা করলেন। এক মাস সময় আমরা দিয়েছি, এই সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার সমাধান যাতে তারা করেন সে বিষয়ে আলোচনা হলো। এছাড়াও আম্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনো তা শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলে পৌরসভা এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে।"
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, পৌরসভার সাথে আমাদের আলোচনা হল। তারা আমাদের এক মাসের সময় দিয়েছেন। আমরা এক মাসের আগেই সমস্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারব বলে আশাবাদী।