ডিজের শব্দে মৃত্যু ১৩ বছরের শিশুর! মায়ের অনুরোধ সত্বেও সাউন্ড বন্ধ করেননি ডিজে অপারেটর
ভোপালে বিকট শব্দের ডিজে সাউন্ডে নাচতে গিয়ে মৃত্যু হল ১৩ বছরের এক শিশুর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি এলাকায় শব্দের সীমা নির্ধারণ করা হলেও ডিজে অপারেটররা তা উপেক্ষা করে। ভোপাল জেলা প্রশাসনও এই ধরনের মামলার অভিযোগের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 18 অক্টোবর: মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে, মুখ্যমন্ত্রী ড. মোহন যাদব উচ্চশব্দ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রথম আদেশ জারি করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ডিজে ও লাউডস্পিকারের ভলিউম কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে কয়েকশো ডিজে সিস্টেমের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি, নবরাত্রির সময় 90 টিরও বেশি ডিজে অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সামনে এসেছে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। ভোপালে জোরে জোরে ডিজে বাজিয়ে নাচতে থাকা ১৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঘটেছে বলে জানা গেলেও এখন পুরো বিষয়টি পুলিশের সামনে এসেছে।
হঠাৎ বিকট শব্দে নিষ্পাপ শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে
পুলিশ জানায়, ১৩ বছর বয়সী সমর বিল্লাউর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। মা দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় চলাকালীন অনুষ্ঠানে শিশুটি ডিজে বাজিয়ে নাচছিল। বিপত্তি ঘটলো ঠিক তারপরেই। ডিজে অপারেটর হঠাৎই সাউন্ড সিস্টেমের শব্দ বাড়িয়ে দেওয়াতে সমর সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
মায়ের অনুমতির পরও রাজি হননি ডিজে অপারেটর
শিশুটির মা সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও ডিজে অপারেটর শোনেননি। এরপর শিশুটির পরিবার শিশুটিকে তুলে নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওই শিশুর মা যমুনা দেবী জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
কত ডেসিবেলের চেয়ে বেশি শব্দ বেআইনি?
সরকার বিভিন্ন এলাকায় শব্দের তীব্রতা নির্ধারণ করেছে। শিল্পাঞ্চলে দিনের বেলায় ৭৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ করা যাবে না। একই সঙ্গে রাতে এসব এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল শব্দের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক এলাকায় সর্বোচ্চ শব্দসীমা দিনে ৬৫ ডেসিবেল এবং রাতে ৫৫ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় শব্দ সীমা দিনে 55 ডেসিবেল এবং রাতে 45 ডেসিবেলের বেশি হবে না। শান্ত এলাকায় শব্দের সীমা দিনে 50 ডেসিবেল এবং রাতে 40 ডেসিবেলের বেশি হবে না।