ন্যায়ের দেবীর চোখ থেকে সরানো হয়েছে কালো পর্দা! কার নির্দেশে এই নয়া উদ্যোগ?
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud) উদ্যোগে এবার সুপ্রিম কোর্ট(supreme court)ন্যায়বিচারের দেবীর মূর্তির চোখ থেকে কালো কাপড় সরানো হল। এর সঙ্গে মূর্তির হাতে তলোয়ার প্রতিস্থাপন করেছে সংবিধান।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 17 অক্টোবর: 1983 সালের 4 আগস্ট একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। নাম ছিল- 'অন্ধ আইন।' অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্ত এবং হেমা মালিনী অভিনীত এই ছবির শিরোনাম গানটি বেশ বিখ্যাত হয়ে ওঠে- 'ইয়ে আন্ধা কানুন হ্যায়...' বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আনন্দ বক্সী যখন আদালতের পরিস্থিতি, আইনজীবী-যুক্তি, শুনানি-সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন, তখন কিশোর কুমার এটি রচনা করেছিলেন। তার কণ্ঠস্বর ধারণ করে আইনের প্রতি মানুষের আহ্বান পৌঁছে
গিয়েছে সম্মানিত মানুষের কাছে। এক জায়গায় কিশোর গেয়েছেন- 'আসমাতেন লুটিন, চালি গলি, ইসে নেই আঁখা না খোলা।'
আইন অন্ধ হওয়ার এই প্রমাণ দেওয়া ছাড়াও পুরো গানটিতে আনন্দ বক্সী আরও অনেক কথা বলেছেন। তবে এখন তারা দুজনই আর নেই। কিন্তু আইনের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম সুপ্রিম কোর্ট এবার একটি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টে বিচার দেবীর চোখ থেকে কালো পট্টি সরানো হয়েছে। সে এখন সবকিছু দেখতে পাচ্ছে, সে আর অন্ধ নয়। কিন্তু ছবিটি কী এই বার্তা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল যে, শুধু মূর্তিটির চোখ থেকে কালো পর্দা সরিয়ে ফেললেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud) উদ্যোগে বিচারের দেবীর মূর্তির চোখ খুলে গেল এবং হাতে তলোয়ার প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। আইনকে সর্বজ্ঞ হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস হিসেবে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। কিন্তু মূর্তি থেকে কালো পর্দা সরিয়ে ফেললেই কি এই উদ্যোগ আইনি প্রক্রিয়ায় সামান্যতম প্রভাব ফেলবে? বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রশ্ন নিজেই অর্থহীন। যেখানে গোটা আইনি ব্যবস্থাই অচল, সেখান তখন চোখের উপর থেকে কালো পর্দা সরিয়ে কি লাভ? আমরা যদি সত্যিই ন্যায়ের দেবীকে চোখ দিতে চাই, তাহলে আমূল পরিবর্তন দরকার। এমনকি প্রধান বিচারপতিও এটা জানেন। তবে সাধারণ মানুষের মত অনুযায়ী, কেউই এই সিদ্ধান্তে কিন্তু ক্ষুব্ধ নয়। লোকমুখে এখন একটাই কথা, 'বিচারপতি চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud) সত্যিই ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন।'