৫০০ টাকার নোট থেকে গায়েব গান্ধীজি! জাল নোটে নিজের ছবি দেখে অবাক অভিনেতা নিজেই

মেহুলের কর্মচারী ভরত যোশী সোনার ডেলিভারির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সোনার পেমেন্ট বাবদ ক্রেতাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার নোটের ২৬ টি বান্ডিল নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে ওই টাকা গুনতে গিয়ে দেখা যায়, সব নোটই জাল। আরও অবাক করা ব্যাপার হলো, সেই জাল নোটে মহাত্মা গান্ধীর পরিবর্তে অভিনেতা অনুপম খেরের ছবি মুদ্রিত রয়েছে।

৫০০ টাকার নোট থেকে গায়েব গান্ধীজি! জাল নোটে নিজের ছবি দেখে অবাক অভিনেতা নিজেই

খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, ২ অক্টোবর: গুজরাটের আহমেদাবাদে সোনা বিক্রি করতে গিয়ে চরম প্রতারণার শিকার হলেন মেহুল ঠক্কর নামের এক সোনা ব্যবসায়ী। তিনি ২,১০০ গ্রাম সোনা বিক্রি করে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার চুক্তি করেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রদান করা হয় এবং বাকী ৩০ লাখ টাকা পরবর্তীতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রাথমিক অর্থেই ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

৫০০ টাকার নোটে অনুপম খেরের ছবি

মেহুলের কর্মচারী ভরত যোশী সোনার ডেলিভারির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সোনার পেমেন্ট বাবদ ক্রেতাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার নোটের ২৬ টি বান্ডিল নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে ওই টাকা গুনতে গিয়ে দেখা যায়, সব নোটই জাল। আরও অবাক করা ব্যাপার হলো, সেই জাল নোটে মহাত্মা গান্ধীর পরিবর্তে অভিনেতা অনুপম খেরের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এই ঘটনা মেহুল এবং তাঁর কর্মচারীকে চরম বিপাকে ফেলে। সাথে সাথেই মেহুল ঠক্কর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

বান্ডিল খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ ব্যবসায়ীর

মেহুল জানান, তিনি প্রশান্ত প্যাটেল নামে একজন ক্রেতার কাছে এই সোনা পাঠিয়েছিলেন। সোনার দাম পরিশোধ করার সময় প্রশান্ত জানান, তিনি ৩০ লাখ টাকা পরবর্তীতে দেবেন এবং বাকি ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু সেই টাকা আসলে পুরোপুরি জাল ছিল। এই চক্রান্তের বিষয়ে জানতে পেরে মেহুল হতবাক হন এবং সাথে সাথেই পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ তল্লাশি শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জাল নোটের মূল উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

অভিনেতা অনুপম খের'ও অবাক

এই ঘটনায় অনুপম খেরও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি মজার ছলে লিখেছেন, "নাও! ৫০০ টাকার নোটে গান্ধীজির পরিবর্তে আমার ছবি! যা খুশি হতে পারে।" তাঁর এই পোস্টও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন তুলেছে। তবর এই প্রতারণা শুধু মেহুল ঠক্করের জন্যই নয়, গোটা সোনা ব্যবসায়ী সমাজের জন্যও একটি সতর্কবার্তা হয়ে উঠেছে। সোনার মতো মূল্যবান সামগ্রীর লেনদেনে আরও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এল।