সময় ঘনিয়ে আসছে, জলের তলায় তলিয়ে যাবে কলকাতা, ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী!
বিশ্ব উষ্ণায়ণ দ্রুত হারে বাড়ছে এবং এর ফলাফল হিসেবে হিমবাহগুলি দ্রুত গলে যাচ্ছে। এর প্রভাবে সমুদ্রের জলস্তরও সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অ্যাভারেজ গ্লোবাল টেম্পারেচার ক্রমশই বাড়ছে, যার প্রভাব গোটা বিশ্বজুড়েই পড়ছে। গবেষণায় প্রকাশ, কোনও এলাকায় হয়তো ২০ বছর বা ৫০ বছরের মধ্যে জলের তলায় তলিয়ে যাবে, আবার কোথাও তা ঘটতে পারে ২০৩০-এর মধ্যেই। যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে কলকাতা সহ ভারতের একাধিক উপকূলবর্তী শহর ২০৩০-এর আগেই জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 5 অক্টোবর: বিশ্ব উষ্ণায়ণ এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী শহরগুলি এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের সম্মুখীন হতে চলেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুযায়ী, আগামী ছয় বছরের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর কলকাতাকে স্পর্শ করবে। তবে বাস্তবিক প্রভাব আরও ভয়ংকর হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব উষ্ণায়ণের ভয়াবহ প্রভাব
বিশ্ব উষ্ণায়ণ দ্রুত হারে বাড়ছে এবং এর ফলাফল হিসেবে হিমবাহগুলি দ্রুত গলে যাচ্ছে। এর প্রভাবে সমুদ্রের জলস্তরও সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অ্যাভারেজ গ্লোবাল টেম্পারেচার ক্রমশই বাড়ছে, যার প্রভাব গোটা বিশ্বজুড়েই পড়ছে। গবেষণায় প্রকাশ, কোনও এলাকায় হয়তো ২০ বছর বা ৫০ বছরের মধ্যে জলের তলায় তলিয়ে যাবে, আবার কোথাও তা ঘটতে পারে ২০৩০-এর মধ্যেই। যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে কলকাতা সহ ভারতের একাধিক উপকূলবর্তী শহর ২০৩০-এর আগেই জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার মাটির অবস্থা
পরিবেশবিদ ও ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, কলকাতার মাটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। মাটির নিচে থাকা পলির স্তর ক্রমশ সরছে, আর তার সঙ্গে সমুদ্রের জলস্তরের দ্রুত বৃদ্ধি কলকাতার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। শুধুমাত্র কলকাতাই নয়, ভারতের উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় ১২টি শহর আগামী ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উপকূলীয় শহরগুলির জন্য হুমকি
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে থাকলে নদীগুলিতে নোনা জল ঢুকে পড়বে, যা উপকূলীয় শহরগুলির জন্য মারাত্মক হতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা সরাসরি সমুদ্রের তলায় চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তী ১০ বছরে আরও ৭০ কিলোমিটার এলাকা সমুদ্রের জলে ঢেকে যাবে। এর ফলে শুধুমাত্র শহর নয়, দেশের বড় একটি অংশ পরিবেশগত শরণার্থী হতে চলেছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রায় ১৭ কোটি মানুষ পরিবেশগত কারণে গৃহহীন হয়ে পড়বেন, এবং এর ১০ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৩ কোটি।
প্রতিরোধ ও সমাধান
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি সমুদ্রের জলের সঙ্গে যে অংশে যুক্ত, সেগুলিকে ব্যারিকেড করে দিতে হবে, যাতে সমুদ্রের জল মাটির ক্ষয় করতে না পারে। এছাড়াও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন কমাতে হবে। তারা আরও বলছেন, যদি দূষণ রোধ করা যায় এবং পরিবেশগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে ৮০ বছর সময় পাওয়া যেতে পারে এই বিপদ ঠেকাতে।যদিও বিশেষজ্ঞরা এই বিপর্যয় প্রতিরোধে অনেকগুলো সম্ভাব্য সমাধানের কথা উল্লেখ করেছেন, তবে তা বাস্তবায়িত করতে না পারলে কলকাতা সহ ভারতের অন্যান্য শহরগুলির ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন।