আরজি কর কান্ড নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জয় রায়, আদালতে দাঁড়িয়ে বলে ফেললেন এই কথা
সিবিআই এই তিন অভিযুক্তকে ভার্চুয়াল শুনানিতে আদালতে হাজির করে। সঞ্জয় রায় জামিনের আবেদন জানালেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। বিচারক জানিয়ে দেন, সঞ্জয়ের পক্ষ থেকে যা বলার ছিল, তাঁর আইনজীবী তা শুনানি চলাকালীনই তুলে ধরেছেন। শেষ পর্যন্ত সঞ্জয়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 5 অক্টোবর: শিয়ালদহ আদালতে চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আবারও শিরোনামে এল সঞ্জয় রায়। হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আদালতে নিজেই জামিনের আবেদন জানিয়ে বিচারকের কাছে তদ্বির করেন। এই ঘটনায় সঞ্জয়ের সঙ্গী সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও একই অভিযোগে আদালতে পেশ করা হয়।
সঞ্জয়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
সিবিআই এই তিন অভিযুক্তকে ভার্চুয়াল শুনানিতে আদালতে হাজির করে। সঞ্জয় রায় জামিনের আবেদন জানালেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। বিচারক জানিয়ে দেন, সঞ্জয়ের পক্ষ থেকে যা বলার ছিল, তাঁর আইনজীবী তা শুনানি চলাকালীনই তুলে ধরেছেন। শেষ পর্যন্ত সঞ্জয়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।
আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করলো CBI
সিবিআই এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে জানায়, খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁরা তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া সিবিআই আদালতে জানায়, সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনা ঘটানোর জন্য প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা, কিংবা তাঁকে আড়াল করার কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা, তাও তদন্তের আওতায় রয়েছে।
সঞ্জয়ের আইনজীবী আদালতে যা বললেন
সঞ্জয়ের আইনজীবী আদালতে আরও দাবি করেন, সঞ্জয় জেলে একাকীত্বে ভুগছেন, তাই তাঁকে অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনও বিচারক খারিজ করে দেন। এই ঘটনায় সিবিআই-এর তদন্ত ও আদালতের নির্দেশ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।