মাটিতে নয়, এবার আকাশে উড়বে ট্রেন! বিশ্বকে চমক দিয়ে 'এয়ার-ট্রেন' চালু করছে ভারত
এয়ার ট্রেনের বেশিরভাগ পথই মাটির উপরে থাকবে। ৭.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের ৫.৭ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড, আর বাকি ২ কিলোমিটার মাটির স্তরে থাকবে। এর নীচের অংশ থাকবে টার্মিনাল ১-এর কাছে এবং এলিভেটেড ট্যাক্সিওয়ের নীচে। এছাড়াও, একটি স্কাইওয়াক তৈরি করা হবে, যা এয়ার ট্রেনকে কার্গো টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 5 অক্টোবর: ভারতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে আসতে চলেছে। ২০২৮ সালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হতে যাচ্ছে এয়ার ট্রেন, যা এলিভেটেড ট্যাক্সিওয়েতে চলাচল করবে। দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (DIAL) ইতিমধ্যেই ৭.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অটোমেটেড পিপল মুভার (APM) প্রকল্পের জন্য টেন্ডার জারি করেছে। এই ট্রেনটি বিমানবন্দরের তিনটি টার্মিনাল—টার্মিনাল ২ ও ৩-কে টার্মিনাল ১-এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ট্রেনটি রানওয়ে ২৮-এর নীচ দিয়ে চলবে, যা প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
কিভাবে চলবে এয়ার ট্রেন?
এয়ার ট্রেনের বেশিরভাগ পথই মাটির উপরে থাকবে। ৭.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের ৫.৭ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড, আর বাকি ২ কিলোমিটার মাটির স্তরে থাকবে। এর নীচের অংশ থাকবে টার্মিনাল ১-এর কাছে এবং এলিভেটেড ট্যাক্সিওয়ের নীচে। এছাড়াও, একটি স্কাইওয়াক তৈরি করা হবে, যা এয়ার ট্রেনকে কার্গো টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
কত খরচ হবে এই প্রকল্পে?
এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয়েরও একটি বিশেষ হিসাব রয়েছে। ভারতে এ ধরনের এলিভেটেড ট্রেন নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ২৫০ থেকে ৩৩০ কোটি টাকা খরচ হয়। মাটিতে তৈরি হলে খরচ হয় ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা, আর মাটির নীচে নির্মাণ করতে হলে প্রতি কিলোমিটারে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়। প্রকল্পটির সম্ভাব্য মোট খরচ হতে পারে ১৫০০ থেকে ১৬০০ কোটি টাকা, যেখানে ট্রেন, সিগন্যাল, ইলেকট্রিক্যাল কাজ এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচও অন্তর্ভুক্ত।
ভারতে কবে চালু হবে এয়ার ট্রেন পরিষেবা?
এই প্রকল্পটি সফল হলে এটি ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ যাত্রী চলাচল আরও সহজ এবং দ্রুত হবে, যা আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।