লেবাবনে বারুদের বর্ষণ অব্যহত, ইজরায়েলী হামলায় ৪৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যু
লেবাননের এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানগুলি বেরুটের দক্ষিণ প্রান্তে অন্তত চারটি হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে বারবার বোমাবর্ষণ করা হয়। চারপাশে শুধু লাল-সাদা আলো ও ভয়ঙ্কর শব্দে আকাশ ও জমিন কেঁপে ওঠে। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, এই হামলায় হিজ়বুল্লার বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, দেবপ্রসাদ মুখার্জী, 6 অক্টোবর: ইজ়রায়েলের ক্রমবর্ধমান হামলা লেবাননে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি পর পর বোমাবর্ষণে লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণ অংশের একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু দক্ষিণ লেবানন নয়, উত্তর লেবাননের প্যালেস্টাইনি শরণার্থী শিবিরেও বোমা ফেলা হয়েছে, যা সেখানকার পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। লেবানন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইজ়রায়েলের কিছু হামলা ছিল অত্যন্ত বিধ্বংসী।
লেবাননে বারুদের বর্ষণ করছে ইজরায়েল
লেবাননের এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানগুলি বেরুটের দক্ষিণ প্রান্তে অন্তত চারটি হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে বারবার বোমাবর্ষণ করা হয়। চারপাশে শুধু লাল-সাদা আলো ও ভয়ঙ্কর শব্দে আকাশ ও জমিন কেঁপে ওঠে। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, এই হামলায় হিজ়বুল্লার বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু
ইজ়রায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, লেবাননে প্রবেশ করে হামলা চালানোর পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ জন হিজ়বুল্লা নেতা ও সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩০ জন কম্যান্ডার। দক্ষিণ লেবাননে হিজ়বুল্লার ডেরাগুলি লক্ষ্য করে হামলা আরও তীব্র হয়েছে। বিমানহানার পাশাপাশি রকেট হামলাও চালানো হচ্ছে।
ক্রমে জটিল হচ্ছে লেবাননের পরিস্থিতি
গত বৃহস্পতিবার, ইজ়রায়েলি বাহিনী লেবাননের রাজধানী বেরুটে হিজ়বুল্লার গোয়েন্দা শাখার একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হিজ়বুল্লা নেতা হাশেম সফিদ্দিন, যিনি হিজ়বুল্লার বর্তমান নেতা নাসরল্লার মৃত্যুর পর সংগঠনটির নেতৃত্ব নিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে, এবং এই সংঘর্ষের ফলে আরও বড় পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।