কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শত্রু হলেন সলমন খান? জেনে নিন আসল কারণ

লরেন্স বিষ্ণোই, যে তখন মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিল, কৃষ্ণসার হত্যার ঘটনা তার মনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং কৃষ্ণসারের প্রতি সম্মান থেকেই তার মনে সালমান খানের প্রতি ক্রোধ জন্মায়। ২০১৮ সালে যোধপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন লরেন্স সলমনকে হত্যা করার শপথ নেয়। ২০২২ সালে সলমনের বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হয়, 'তুমহারা মুসেওয়ালা কর দেঙ্গে', যা পরবর্তী হুমকি ও আক্রমণের পূর্বাভাস দেয়।

কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শত্রু হলেন সলমন খান? জেনে নিন আসল কারণ

খবর সাতদিন ডেস্ক, 20 অক্টোবর: সলমন খান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মধ্যে চলমান শত্রুতার শিকড় ১৯৯৮ সালের যোধপুরে ঘটে যাওয়া একটি শিকার কাণ্ডে নিহিত। সেই বছর, সালমান খান একটি ছবির শুটিংয়ের সময় রাজস্থানের যোধপুরে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কৃষ্ণসার হরিণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র, কারণ এই হরিণ তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। বিষ্ণোই সম্প্রদায় প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আদর্শে বিশ্বাসী, এবং কৃষ্ণসার হরিণকে তাঁদের প্রতিষ্ঠাতা গুরু জাম্বেশ্বরের প্রতীক হিসেবে সম্মানিত করেন। এ ঘটনার পর সালমানের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে এবং ২০১৮ সালে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যদিও তাঁর আইনজীবীরা এখনো মামলা লড়ছেন।

লরেন্স বিষ্ণোই, যে তখন মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিল, কৃষ্ণসার হত্যার ঘটনা তার মনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং কৃষ্ণসারের প্রতি সম্মান থেকেই তার মনে সালমান খানের প্রতি ক্রোধ জন্মায়। ২০১৮ সালে যোধপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন লরেন্স সলমনকে হত্যা করার শপথ নেয়। ২০২২ সালে সলমনের বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হয়, 'তুমহারা মুসেওয়ালা কর দেঙ্গে', যা পরবর্তী হুমকি ও আক্রমণের পূর্বাভাস দেয়।

২০২৩ সালের মার্চে ইমেইল মারফত আবারও সলমন এবং তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরের মাসে, সলমনের বাসভবন গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়। মে মাসে, পানভেলের ফার্মহাউসের কাছে তাঁকে হত্যা করার আরও একটি পরিকল্পনা বানচাল করে পুলিশ, যেখানে একে-৪৭ রাইফেল ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল।

লরেন্স বিষ্ণোই একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমানকে বিষ্ণোই মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে, কিন্তু সালমান এই শর্ত মেনে নেননি। এর ফলস্বরূপ, হুমকির মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অক্টোবর ২০২৪ সালে মুম্বাই পুলিশ নতুন করে সালমানের জীবন নিয়ে হুমকির তথ্য পায়, যার পরে সালমান নিজে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেন।

এই টানাপোড়েন মূলত একটি ধর্মীয় অনুভূতি থেকে শুরু হলেও, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংস্টার পরিচিতির সাথে মিশে এটি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সালমানের জীবন আজও এই হুমকির মধ্যে চলছে, এবং পুরো বলিউড তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।