বিশ্বের সবথেকে 'হ্যান্ডসাম' পুরুষের তালিকায় রয়েছেন শাহরুখ খান, জানেন কত নম্বরে রয়েছেন 'পাঠান'!
ডক্টর সিলভার তৈরি করা তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন অ্যারন টেলর-জনসন, যিনি ৯৩.০৪% গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী সবচেয়ে নিখুঁত মুখের গঠন ধারণ করেন। তাঁর নাকের প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যের সমন্বয় এবং চিবুকের গঠন প্রায় পুরোপুরি নিখুঁত হওয়ায় তিনি শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 18 অক্টোবর: ডক্টর জুলিয়ান সি সিলভার সাম্প্রতিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে যে তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরুষ সেলিব্রিটিদের শারীরিক সৌন্দর্যের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণকে কেন্দ্র করে। তিনি ‘গোল্ডেন রেশিও’ নামক গাণিতিক সমীকরণটি ব্যবহার করে এই গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন। এই গোল্ডেন রেশিও মূলত সৌন্দর্যের গাণিতিক মান নির্ধারণের একটি পদ্ধতি, যা প্রাচীন গ্রীকরা সৌন্দর্যের পরিমাপ হিসেবে তৈরি করেছিল। দা ভিঞ্চি তাঁর বিখ্যাত সৃষ্টি ‘ভিট্রুভিয়ান ম্যান’-এ এই সমীকরণ ব্যবহার করে মানবদেহের সৌন্দর্যের নিখুঁততা ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
ডক্টর সিলভার তৈরি করা তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন অ্যারন টেলর-জনসন, যিনি ৯৩.০৪% গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী সবচেয়ে নিখুঁত মুখের গঠন ধারণ করেন। তাঁর নাকের প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যের সমন্বয় এবং চিবুকের গঠন প্রায় পুরোপুরি নিখুঁত হওয়ায় তিনি শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন।
তালিকায় থাকা অন্যান্য পুরুষ সেলিব্রিটিরাও তাঁদের শারীরিক গঠনের সৌন্দর্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ মুখাবয়বের কারণে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। রবার্ট প্যাটিসন (৯২.১৫%) এবং জর্জ ক্লুনি (৮৯.৯%) এর মতো বিশ্বখ্যাত তারকারা এ তালিকায় রয়েছেন, যারা নিজেদের আকর্ষণীয় শারীরিক গঠনের জন্য সর্বদাই পরিচিত।
এই তালিকায় বলিউড তারকা শাহরুখ খানের উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ৫৮ বছর বয়সে তাঁর এমন শারীরিক সৌন্দর্য এবং আকর্ষণীয়তা ধরে রাখা তাঁর ভক্তদের জন্য এক গর্বের বিষয়। যদিও তাঁর মুখের অনানুষ্ঠানিক সৌন্দর্য প্রশংসনীয়, তবে নাকের গঠনের কারণে তিনি ৮৬.৭৬% স্কোর পেয়েছেন, যা তাঁকে দশম স্থানে রাখে। তাঁর ভক্তদের মতে, এই তালিকায় আরও ওপরে থাকা উচিত ছিল।
এই তালিকা এবং বিশ্লেষণ দেখায় যে সৌন্দর্যকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে, এবং এই গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, মুখাবয়বের কিছু নির্দিষ্ট মাপ সৌন্দর্যের গাণিতিক মান নির্দেশ করতে সক্ষম। তবে, এটি মনে রাখা উচিত যে সৌন্দর্য একান্তই আপেক্ষিক এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি, ব্যক্তিগত পছন্দ ও সামাজিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে সৌন্দর্যের ধারণা পরিবর্তিত হয়।