এরোপ্লেনের মতো সুবিধা মিলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এই বিশেষ কোচে, টিকিট কাটার আগে জেনে রাখুন
বন্দে ভারত স্লিপার কোচের ইন্টিরিয়র ডিজাইন সাধারণ ট্রেনের থেকে আলাদা। এই ট্রেনে বাঙ্ক বা শোবার জায়গাগুলির রঙে হলুদ ও ধূসর শেডের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে, যা যাত্রীদের মনোরম অভিজ্ঞতা দেবে। আপাতত এই কোচগুলি ৮০০ থেকে ১২০০ কিমি দূরত্বে চলাচল করবে বলে জানা যাচ্ছে। ১৬টি কোচের এই ট্রেনে একসাথে ৮২০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। প্রতিটি যাত্রীর আরামের জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা বসার জায়গা থেকে শুরু করে শৌচালয় পর্যন্ত সর্বত্র নজর দেওয়া হয়েছে।
খবর সাতদিন ডেস্ক, 26 অক্টোবর: ভারতের রেল ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করছে বন্দে ভারত স্লিপার কোচ। বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক সুবিধা সমন্বিত এই স্লিপার কোচগুলির প্রথম চেহারা সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি এই কোচগুলি তৈরি করেছে, আর এখন এই কোচগুলির উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। যাত্রীদের আরামদায়ক ও নিরাপদ যাত্রার কথা মাথায় রেখে এই স্লিপার কোচে রয়েছে অসংখ্য আধুনিক সুবিধা।
বন্দে ভারত স্লিপার কোচের ইন্টিরিয়র ডিজাইন সাধারণ ট্রেনের থেকে আলাদা। এই ট্রেনে বাঙ্ক বা শোবার জায়গাগুলির রঙে হলুদ ও ধূসর শেডের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে, যা যাত্রীদের মনোরম অভিজ্ঞতা দেবে। আপাতত এই কোচগুলি ৮০০ থেকে ১২০০ কিমি দূরত্বে চলাচল করবে বলে জানা যাচ্ছে। ১৬টি কোচের এই ট্রেনে একসাথে ৮২০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। প্রতিটি যাত্রীর আরামের জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা বসার জায়গা থেকে শুরু করে শৌচালয় পর্যন্ত সর্বত্র নজর দেওয়া হয়েছে।
বন্দে ভারত স্লিপার কোচের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- সেন্সর অ্যাকটিভেটেড দরজা: দরজার সামনে এলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে, যা যাত্রীদের সুবিধার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
- টাচ-ফ্রি বায়ো ভ্যাকুম টয়লেট: জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তৈরি এই টয়লেটে কোনও শারীরিক সংযোগ ছাড়াই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুবিধা মিলবে।
- টক-ব্যাক ইউনিট: বিমানের মতোই, যাত্রীদের প্রয়োজনে ট্রেন অ্যাটেনডেন্টদের ডাকার জন্য ‘টক-ব্যাক’ ইউনিট দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ফার্স্ট ক্লাস কোচে এটি আরও উন্নত ফ্লাইট স্টাইল অ্যাটেনডেন্সের মতো কার্যকর হবে।
সুবিধার দিক থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের তুলনায় অগ্রগামী। বন্দে ভারত স্লিপার কোচ শুধু আরামের দিকেই নয়, যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকেও সমানভাবে নজর দিয়েছে। গঠন এবং অভ্যন্তরীণ ডিজাইনেও বেশ কিছু অভিনবত্ব আনা হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ও সুস্থকর ভ্রমণের নিশ্চয়তা দেবে।